ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

১৯ বছরেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের নিজ মাতৃভাষায় পাঠদান শুরু হয়নি

প্রকাশিত : ১৬:৩৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৬:৩৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শান্তি  চুক্তির ১৯ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদেরকে সরকারিভাবে নিজ নিজ মাতৃভাষায় পাঠদান শুরু হয়নি। এতে করে শিক্ষা-দিক্ষায় খুব একটা এগুতে পারছে না তারা। পাশাপাশি বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মনে করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ এগার ভাষাভাষী ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এসব জনগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য। ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া রোধ ও শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে নিতে মাতৃভাষায় শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার কথা ছিল। তবে সরকারিভাবে ১৯ বছরেও শুরু হয়নি এর কার্যক্রম। ২০১২ সালে জাতীয় পর্যায়ে মাল্টি ল্যাংগুয়েজ এ্যডুকেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তিনটি কমিটিও গঠন করে দেয় সরকার। কিন্তু ২০১৬ সালেও প্রাক-প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রনয়ণ কার হয়নি। আগামী বছরেও চালু করা সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়ে সন্দিহান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তবে দুটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে রাঙামাটির কয়েকটি এলাকায় মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এতে করে শিশুরা অতি সহজেই পড়ালেখা শিখতে পারছে। একই সঙ্গে কমছে ঝড়ে পড়ার সংখ্যাও। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের জন্য মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি