বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ
প্রকাশিত : ১৮:৪৮, ২ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ২০:৩৪, ২ মার্চ ২০১৬
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম পুনরায় নিবন্ধনে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহকে অনৈতিক ও অপব্যবহারের শংকা প্রকাশ করে, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে এক আইনজীবী। এদিকে তথ্য প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, নাগরিকদের তথ্য রাষ্ট্র সংরক্ষন করতেই পারে। তবে বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে এ ধরনের তথ্য যাওয়া সঠিক নয়।
দেশে ছয়টি মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজার। বিপুল সংখ্যক সিম প্রকৃত মালিকদের হাতে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা নিশ্চিত ছিল না। মনিটরিংয়ের আওতায় আনতেই, গেল বছর ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে নিবন্ধনের উদ্যেগ নেয় সরকার। তিন মাসে, প্রায় দেড় কোটি সিম পুনঃনিবন্ধন হয়।
কিন্তু, আঙ্গুলের ছাপ, নেওয়ায় আপত্তি ছিল অনেকেরই। এবার আঙ্গুলের ছাপ ব্যক্তিগত সম্পদ উল্লেখ করে, বিষয়টি পূণর্বিবেচনার দাবিতে উকিল নোটিশ দিলেন হাইকোটের এই আইনজীবী। ব্যবস্থা নিতে সময় বেধে দেয়া হয়েছে ৪৮ ঘন্টা।
তবে সংশ্লিস্টরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে চুক্তি করেই, মোবাইল অপারেটরা এ নিবন্ধন করছে। শুধু ভেরিফাই ছাড়া এসব তথ্য সংরক্ষন করা হবে না।
এদিকে মোবাইল সিম পুনরায় নিবন্ধনে উদ্যেগটি ভালো হলেও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তথ্য না রেখে নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তিবিদরা।
প্রয়োজনে আইন সংশোধন সহ দীর্ঘ স্থায়ী পদ্ধতির দিকে যাবার পরামর্শও তার।
আরও পড়ুন