ঢাকা বার নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ জয়
প্রকাশিত : ১০:১৮, ৯ মার্চ ২০১৯
ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) ২০১৯-২০ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের সাদা প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮টি পদেই জয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। এর মধ্যে ৯টি সম্পাদকীয় ও ৯টি সদস্য পদ পেয়েছেন তারা। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ ৩টি সম্পাদকীয় ও ৬টি সদস্য পদ পেয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত (৯ মার্চ) মধ্যরাতে ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এর আগে বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ) অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের ফল
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলে ৯টি সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীরা হলেন- সভাপতি পদে গাজী শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান খান রচি, সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ ওমর ফারুক আসিফ, দফতর সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম কাদির, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হুমায়ুন খন্দকার টগর ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. উজ্জ্বল মিয়া।
অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ৩ সম্পাদকীয় পদে বিজয়ীরা হলেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মো. জিয়াউল হক জিয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোরশেদা খাতুন শিল্পী।
নির্বাচনে এবার ১৭ হাজার ৮৯৭ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা ছিল। তবে দুদিনব্যাপী ভোটগ্রহণে ৯ হাজার ৩৬৪ জন ভোট দিয়েছেন। বাকি ৮ হাজার ৫৩৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বারের সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বাদল।
নীল প্যানেলে সভাপতি পদে মো. ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান এবং সাদা প্যানেলে সভাপতি পদে গাজী শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আসাদুজ্জামান খান রচি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সাদা প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বিরা
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, ট্রেজারার পদে আব্দুল জলিল আফরাদ (কবির), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ ওমর ফারুক আসিফ, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মো. আতাউর রহমান খান রুকু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শায়লা পারভীন পিয়া, দফতর সম্পাদক পদে মো. জাহিদুল ইসলাম কাদির, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. উজ্জ্বল মিয়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর।
সদস্য পদে আয়েশা বিনতে আলী, এএইচএম শফিকুল ইসলাম মোল্লা সোহাগ, হোয়াত আল মাহমুদ জিকু, কাওছার হাসান, মো. সাব্বির হাসান, মো. বাহারুল ইসলাম বাহার, মো. হাসান আকবার আফজাল, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. জুয়েল শিকদার, মো. মাসুম মিয়া, মো. মাসুম মৃধা, সাইফুল ইসলাম, সৌরভ হোসেন, তানভীর আহমেদ সজিব ও তুষার ঘোষ।
নীল প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বিরা
সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, সহ-সভাপতি পদে এ আর মিজানুর রহমান, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফর রহমান আজাদ, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. নিহার হোসেইন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া ছোটন, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মো. জিয়াউল হক জিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোরশেদা খাতুন শিল্পী, দফতর সম্পাদক পদে মো. জুলফিকার আলী হয়দার জীবন, খেলাধুলা সম্পাদক পদে মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান রানা।
সদস্য পদে আজহার উদ্দিন রিপন, কাজী রাওশান দিল আফরোজ, এম আর রাসেল, মো. বাবুল আক্তার, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. ইকবাল মাহমুদ সরকার, মো. মেহেদী হাসান জুয়েল, মো. রাসেদুল ইসলাম রাসেল, মোহাম্মাদ ইব্রামি (স্বপন), মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল, মো. ইয়াছিন মিয়া, মোছা. ফারহানা আক্তার লুবনা, নজরুল হক সুভা, শাহীন সুলতানা খুকি ও সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া জাদু।
এর আগে ২০১৮-১৯ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের সাদা প্যানেলই জয়লাভ করেছিল। এতে ২৭টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪টি পদেই জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। অপরদিকে সভাপতি পদসহ ১৩ পদ পান বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা।
২০১৭-২০১৮ কার্যবর্ষের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জয়লাভ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ৬টি পদে জয়লাভ করে।
এ ছাড়া ২০১৬-১৭ মেয়াদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদেই জয়ী হন আওয়ামী সমর্থীত আইনজীবীরা। অপরদিকে বিএনপি সমর্থীত নীল প্যানেল পেয়েছিল ৬টি পদ।
টিআর/
আরও পড়ুন