বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পাটপণ্যের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে
প্রকাশিত : ১৫:২৭, ১১ মার্চ ২০১৯
বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের পাটপণ্যের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে পাট থেকে বহুমুখী পণ্য তৈরি করে রফতানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে পাটের তৈরি পলিথিনের চাহিদা বেশি বাড়ছে। এ পলিথিন ১৫ দিনের মধ্যে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। যে কারণে এটি পরিবেশ সম্মত।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৯৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। এরপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১০৩ কোটি ৬ লাখ ডলারে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা কমে ৮২ কোটি ৪৪ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। এর পরের অর্থবছরে রফতানি আবারও বাড়ে।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি হয় ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রফতানি আবারও বেড়ে হয় ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও রফতানি আয় বাড়ে। তখন আয় হয় ১০২ কেটি ৫৫ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রফতানি আয়ে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। এ আট মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭১ কোটি ১২ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৫৬ কোটি ৫ লাখ ডলার। আয় ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ কম হলেও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে।
বাংলাদেশ জুট গুডস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিদেশি বাজারে এখন পাটপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। যে কারণে রফতানিও বাড়ছে।
বর্তমানে পাট নিয়ে গবেষণা করে বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এসবই রফতানি হচ্ছে। তবে পাটপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে না। যদিও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এতে মুনাফার হার কমে গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশ থেকে কাঁচা পাটের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পাটজাত পণ্য রফতানি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কার্পেট, কাপড়, মন্ড, মোবাইল কভার, জুতা, শিকা, পাপোস, ওয়ালমেট, টেবিলমেট, কুশন কভার, বিভিন্ন পণ্যের ব্যাগ ইত্যাদি।
সূত্রমতে, বিশ্বে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার ৫ হাজার কোটি ডলারের। এর মধ্যে চীনের দখলে অধিকাংশ বাজার থাকলেও বাংলাদেশের অবস্থান আছে ছোট আকারে।
তবে ২০১৮ সালে ইউরোপের বাজারে সিনথেটিক পণ্য নিষিদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী বাড়ছে বায়োডাইবারফিকেশন ব্যাগ ও পণ্যের চাহিদা; যা পাট দিয়ে বাংলাদেশ তৈরি করতে পারবে। এটি দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার বাজার তৈরি করবে।
বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, আইভোরি কোস্ট, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, জার্মানি, স্পেন, ইংল্যান্ড, মিসর, চীন, জাপান, ইরান, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। দেশের ভেতরেও পাটজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে বেসরকারি পাটকলগুলো।
আরও পড়ুন