ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নতুন সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন একনেকে

প্রকাশিত : ১৪:৪১, ৯ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৭:২৩, ৯ এপ্রিল ২০১৯

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নতুন সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ১৮ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৬ হাজার ৬২২ কোটি টাকা এবং বাকি ১১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সাত প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের আখাউড়া-সিলেট সেকশনের মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজ রেললাইনে রূপান্তর’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৬ হাজার ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ৫ হাজার ৪৫০ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং চীন সরকার ঋণ দেবে ১০ হাজার ৬৫৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৪৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্প চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘মাগুরা-শ্রীপুর জেলা মহাসড়ক বাঁক সরলীকরণসহ সম্প্রসারণ’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ‘মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং ভারতী ঋণ দেবে ৯১৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বিসিএসআইআর ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর শুটকি মাছ প্রক্রিয়াকরণ এবং ইনডোর ফার্মিং গবেষণা সংক্রান্ত সুবিধাদি স্থাপন’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৮৯ কোটি টাকা। সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্প চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারী থেকে ফুলুয়ার চর ঘাট ও রাজিবপুর উপজেলা সদর (মেম্বার পাড়া) থেকে মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন থেকে বাম তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্প চলতি বছরের মে থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি