জাহালমের মামলা চলবে
প্রকাশিত : ১২:৩৯, ১৩ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৪:১৩, ১৩ মে ২০১৯
জাহালম
বিনা দোষে ৩ বছর জেলখাটা পাটকলশ্রমিক জাহালমের ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের চিহ্নিত করার বিষয়ে রুল শুনানিসহ সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে জাহালমের মামলা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি হতে বাধা নেই।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ এপ্রিল জাহালমের মামলার সব কার্যক্রম ১৩ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। সোমবার আপিল বিভাগে মামলাটি শুনানির জন্য আসলে আদালত দুদকের আবেদন খারিজ করে দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, অপর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।
অমিত দাশগুপ্ত বলেন, দুদকের আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে, অর্থাৎ যে বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিয়েছিলেন, সেই বেঞ্চে মামলাটির কার্যক্রম চলবে। শুনানির দিন ধার্যের জন্য শিগগিরই হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আবেদন জানানো হবে বলে জানান তিনি।
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর ধরে কারাগারে কাটাতে হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে।
এ বিষয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতীয় একটি দৈনিক। সেটি সেদিন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।
এরপর ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে দুদকের ব্যাখ্যা জানতে কমিশনের চেয়ারম্যানের মনোনীত প্রতিনিধিসহ চারজনকে তলব করেন। কারাগারে থাকা ‘ভুল’ আসামি জাহালমকে কেন অব্যাহতি দেয়া হবে না এবং তাকে মুক্তি দিতে কেন ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বণোদিত একটি রুলও জারি করা হয়।
এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুঃখ প্রকাশ করে ভুলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আদালতের আদেশে ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম।
আরও পড়ুন