ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রাণের মেলা
প্রকাশিত : ১৬:৫২, ৫ জুন ২০১৯
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত। একদিকে সমুদ্রসৈকত অন্যদিকে সবুজ পাহাড়, প্রকৃতির কি অনাবিল সুন্দরের হাতছানি। ঈদের টানা পাঁচদিনের ছুটিতে পুরো পর্যটন শহর কক্সবাজারকে মাতিয়ে তুলেছে দেশের সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানান প্রান্তের কয়েক লাখ মানুষ। হোটেল-মোটেল জোনে হোটেল মালিকরা অপেক্ষায় আছেন পর্যটকদের সেবা দিয়ে বছরের মৌসুমি আয় ঘরে তুলতে।
স্বপ্নের সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা, বালুকা বেলায় ছোটাছুটি, সমুদ্রের মোহনীয় গর্জন শোনার অনুভূতি কি সাধারণ কিছু? আর সমুদ্রের লোনাজলে গা ভাসানোর লোভ কে সামলাতে পারে। সত্যিই অসাধারণ একটা জায়গা। এখানে আসলেই তো মন ভালো হয়ে যায়।
শুধু কক্সবাজার সৈকত নয়, সৈকতের আশপাশে যেসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো আছে হিমছড়ি, ইনানীসহ আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে টুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পাঁচদিনের বাড়তি চাপ সামলানোর পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি ব্যস্ততম বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, পর্যটকেরা যেন কোনোভাবেই হয়রানি বা প্রতারণার শিকার না হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসনের সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ক্রমে সমুদ্রসৈকতসহ আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন। সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলীসহ ১১টি পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে তথ্য কেন্দ্র (ইনবক্স)। যেকোনো অভিযোগ এখানে অভিযোগ করতে পারবে পর্যটকেরা। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে একটি হটলাইন নম্বর (০১৭৩৩৩৭৩১২৭)।
এদিকে এবার ঈদে পর্যটক বরণে এখানকার প্রায় চারশো হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। শুধু কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতই নয়, রামুর বৌদ্ধবিহার, হিমছড়ি, ইনানী, মহেশখালী, সোনাদিয়া ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড় পড়েছে। তবে হালকা বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেলেও কিছু কিছু বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।
আরকে//
আরও পড়ুন