টেকসই অংশীদারিত্বের অঙ্গিকার বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের
প্রকাশিত : ১৭:১৫, ১২ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৭:২২, ১২ জুন ২০১৯
নিরাপত্তা, উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগকালীন ত্রাণ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় টেকসই অংশীদারিত্বের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। এ বিষয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করার কথা বলেছে দুই দেশ। গত ১০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ৭ম যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বে আয়োজিত এক সংলাপে এ সহযোগীতার কথা বলা হয়। বুধবার বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা যায়।
বাংলাদেশে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ডেভিড হেইলের সভাপতিত্বে সংলাপে একটি অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চালাতে একমত হয় দুই দেশের সরকার।
সংলাপে সন্ত্রাসবাদের অব্যাহত চ্যালেঞ্জ এবং নিরাপত্তাগত লক্ষ্য পূরণের প্রচেষ্টার পাশাপাশি মানবাধিকার বিষয়ক বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার বিষয়ে আলোচনা হয়। দুদেশের মধ্যে বিনিময় হওয়া গোপনীয় সামরিক তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সভায় দুদেশের সরকার সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরস্পরকে অবহিত করে এবং এই বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহায়তার ক্ষেত্র খতিয়ে দেখতে সম্মত হয় বলে জানা যায়।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদন সাপেক্ষে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে সমুদ্রসীমা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, জলদস্যুতা প্রতিরোধ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশকে নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধি করার অঙ্গীকার করে।
এ সভায় মিয়ানমার থেকে আসা দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে অব্যাহতভাবে আশ্রয় দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের আন্তরিকতার প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সমস্যার মূল কারণের সমাধান করা এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর জোর দেয় দুই সরকার। এ সংকটের সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
সভায় সুশাসন এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রত্যাশিত উত্তরণের জন্য বাংলাদেশে প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের এ সভায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকার একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দেশগুলোর জনগণের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে কাজ করতে এক মত হয়।
এমএস///আরকে
আরও পড়ুন