মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে সব মন্ত্রণালয়ের এপিএ চুক্তি আজ
প্রকাশিত : ০৯:১৫, ১৩ জুলাই ২০১৯
সরকারের সার্বিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আশা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে ২০১৯-২০ সালের এপিএ চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়ন কর্মসূচির গতিশীলতা আনতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সমূহ টানা পঞ্চমবারের মত এই এপিএ চুক্তি সম্পাদন করতে যাচ্ছে।
মুজিবুর রহমান বলেন, এপিএ’র অর্থ হলো এক বছরে একটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কতটুকু কার্য সম্পাদন করা হবে তার পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবগণ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, চুক্তি স্বাক্ষরের পর জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবগণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এপিএ হস্তান্তর করবেন।
তিনি বলেন, নতুন এপিএ ভিশন ২০২১, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সপ্তম-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) নেয়া প্রকল্পগুলোর আলোকে তৈরি করা হবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, চুক্তির আলোকে ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সমূহের কাজের মূল্যায়ন করা হবে।
সরকারি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারসহ প্রতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর থেকে এই এপিএ পদ্ধতি প্রণয়ন করে।
এপিএ’র মূল উদ্দেশ্য হলো, প্রক্রিয়াগত ধারণা থেকে ফলাফলগত ধারণার দিকে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি দেয়া এবং বছর শেষে ন্যায্যতা ও উদ্দেশ্যর ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সমূহের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করা।
আরও পড়ুন