বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা বাড়ানো হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১১:১৭, ১৭ জুলাই ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষার হার বাড়ানো হবে। এ জন্য জেলাভিত্তিক শিক্ষার মানের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে লিঙ্গ সমতার কথা বলছি, তা ফিরিয়ে আনতে স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বাড়াতে হবে।
বুধবার গণভবনে উচ্চমাধ্যমিক ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালের নতুন করে শিক্ষানীতি প্রণয়নের মাধ্যমে আমরা স্বাক্ষরতা, কারিগরি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছি। ফলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ৪৫-৬৭ শতাংশ স্বাক্ষরতায় উত্তীর্ণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতে পড়াশুনায় ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য আমরা সময়মত পরীক্ষা ও ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। এবছর নির্ধারিত সময়ের আগে (৫৫ দিনে) ফল প্রকাশ করায় শিক্ষামন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে একটি শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তা খুঁজে বের করে। সে আলোকে শিক্ষানীতি প্রণয়নের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে হয়নি। পরে ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসলে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি উন্নত সমাজ ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে হলে উন্নত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এবছর পাশের হার তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
এবার সারাদেশে গড় পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে বিস্তারিত ফল প্রকাশ করবেন।
দুপুর ১টা থেকে শিক্ষার্থীরা মোবাইল, ইন্টারনেট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল বাশার জানান, দুপুর ১টায় নিজ নিজ কেন্দ্র/প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হবে।
এ বছর ৯ হাজার ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ ছাত্র ও ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন ছাত্রী।
আরও পড়ুন