যে কারণে কানাডায় আশ্রয় চান সিনহা
প্রকাশিত : ১০:১৩, ২৭ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১০:১৭, ২৭ জুলাই ২০১৯
যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করে তা গ্রহীত না হওয়ায় এবার কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা)।
গত ৪ জুলাই তিনি তার স্ত্রীসহ স্থল সীমান্ত দিয়ে কানাডায় প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন।
কেন কানাডায় আশ্রয় চান? এমন প্রশ্নের জাবাবে বিবিসি বাংলাকে সিনহা বলেন, ‘আমার যেহেতু কোন স্ট্যাটাস ছিল না, আমার কোন ইনস্যুরেন্স ছিল না। ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট কিছু বন্ধু বান্ধবরা করতো, বই এর কিছু রয়্যালটি পেয়েছিলাম, এটা দিয়ে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করছিলাম। এই কারণে অনেক চিন্তাভাবনা করে কানাডায় আসার চিন্তাভাবনা করলাম।’
কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের কারণ হিসেবে সিনহা আরও জানান, কোন একটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করার পর, কানাডায় আশ্রয় চাওয়া যায় না বলে দেশটির আইনে একটি বিধান রয়েছে।
কানাডায় কর্তৃপক্ষ তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবার ব্যপারে কাগজপত্র তৈরি থেকে সবকিছুতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
টাকা পাচার সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে তিনি জানান, নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি এসকে সিনহা বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেও রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র দাখিল করেন।
বাংলাদেশ থেকে প্রথমে তিনি সিঙ্গাপুরে যান। পরে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে যান। গত ফেব্রুয়ারিতে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন