বিমানের এমডিসহ তিনজনকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
প্রকাশিত : ১৩:৩০, ২৯ জুলাই ২০১৯

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিলসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুদকের অনুসন্ধন কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।
ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান ছাড়া অপর দুই জন হলেন- বিমানের চিফ ফাইনানশিয়াল অফিসার বিনীত সুদ ও পরিচালক (প্লানিং) মাহবুব জাহান খান। এ অভিযোগেই একই দিন বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ ও পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. আশরাফুল আলমেরও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা যায়, সংস্থাটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মুনীম মুসাদ্দিক আহমেদসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৪ জুলাই তাদেরকে তলব করে দুদক।
গতকাল রোববার বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) পার্থ কুমার পণ্ডিত, পরিচালক (ইঞ্জিনিয়াং অ্যান্ড মেটারিয়েল ম্যানেজমেন্ট) সাজ্জাদুর রহিম, পরিচালক (কাস্টম সার্ভিস) মুমিনুল ইসলাম ও জিএম (প্রশাসন) বুশরা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, ‘বিমানের এ কর্মকর্তারা ক্যাডেট পাইলট নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে’ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির উৎস ‘চিহ্নিত’ করে তা বন্ধে গত মার্চে কিছু সুপারিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এতে বলা হয়, বিমানের জন্য উড়োজাহাজ কেনা, ইজারা নেওয়া ও নানা যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ‘ব্যাপক দুর্নীতি’ হয়ে থাকে।
উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটায় ‘শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি’ হয়ে থাকে। বিমানের আয়ের বড় খাত কার্গো সার্ভিস হলেও এ খাতে ‘বড় ধরনের’ দুর্নীতি হয়।
এমএস/
আরও পড়ুন