ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট সচেতনতা সভা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২০, ২৯ জুলাই ২০১৯

শিশু-কিশোরদের জন্য ইন্টারনেট কতটুকু নিরাপদ, ব্যবহারের দুর্বলতায় কিভাবে ঝুঁকিতে পড়ছে শিশু-কিশোররা, কিংবা কেন উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ছে ভবিষ্যত প্রজন্ম। ইন্টারনেটের বিচরণের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ব্যক্তির তথ্য যাচাই করার সুযোগ থাকে না তাই বার্তা প্রেরণকারীর আসল অভিপ্রায় সম্পর্কে ধারণা না পাওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা ধ্বংসাত্মক গেম, পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু নিজের উন্নয়নে ইন্টারনেট সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তাই সচেতন ও সাবধানী ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট সচেতনতা বিষয়ে নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 

রোববার ডিনেট কার্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সচেতনতা বিষয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা শহরের বাংলা, ইংরেজি ও মাদ্রাসা মাধ্যমের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিনেট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সিরাজুল হোসেন। বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র নিউজ এডিটির মীর মাশরুর জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী অরণি সেমন্তী খান। 

সভায় শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট সচেতনতা, নানা ধরনের বিপদ সম্পর্কে সতর্কতা এবং সচেতনতা গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা যেন তাদের জন্য ক্ষতিকর কোন চিন্তাধারায় প্রভাবিত না হয়, সেই বিষয়ে কিভাবে সচেতনতা গড়ে তোলা যায় তার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বর্তমান বাস্তবতায় শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট সচেতনতার বিষয়টি একটি জরুরি প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে।

ডিনেট, ইউএসএআইডি’র অবিরোধ: রোড টু টলারেন্স প্রজেক্টের সহযোগিতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ই-সচেতনতা’ বিষয়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ডিনেট শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য 
নিম্নলিখিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে: 
১. ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলার ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
২. সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে অনলাইনে একটি ই-শিখন প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা।
৩. শিক্ষার্থীদের সচেতন করার জন্য একটি ২০ সিরিজের ই-কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।
৪. ই-কুইজে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে একটি অলিম্পিয়াড আয়োজন।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি