ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গু নিধনে বছরভর সজাগ থাকতে হবে: তাজুল ইসলাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৯, ৭ আগস্ট ২০১৯

আমাদের দেশে এডিস মশার অভিজ্ঞতা আগে যা ছিল, এবার নতুন করে আমরা এই শিক্ষাটা গ্রহণ করতে পেরেছি যে ১২ মাস আমাদের কাজ করতে হবে। ডেঙ্গু নিধনে সজাগ থাকতে হবে বছরভর, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ভারতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এসব কথা বলেন।

 বুধবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা জানান মন্ত্রী।
 
ডেঙ্গুজ্বর নির্মূলে সম্প্রতি কলকাতার অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরা মন্ত্রী বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে কলকাতা অনেক বেশি অর্জন করেছে এবং ফলাফল অনেক বেশি পেয়েছে। তারা বলেছেন, তারা সব মানুষকে সচেতন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এজন্য ৭/৮ বছরের ব্যবধানে তাদের ওখানে এখন এডিস মশা একেবারেই নগণ্য। আমরা যখন গিয়েছিলাম তাদের ৭শ রোগী ছিল। আমাদের দেশে ওই সময়ে পাঁচ হাজারের বেশি ছিল। আমরা মনে করি তাদের অনুসরণ করার মতো কিছু ছিল, আছে।
 
‘তারা বলছে তাদের টোটাল অ্যাফোর্টের মধ্যে ৯০ শতাংশ পাবলিক অ্যাওয়ারনেস। উৎপত্তিস্থলে নিষ্পত্তি হলে সমাধান অনেক বেশি হয়ে যায়। তারা কী করে- তারা ফগিং মেশিন ইউজ ভেরি রেয়ারলি করে। কারণ এটা দূষণ করে পরিবেশ। ডেঙ্গু মশাটা জন্মানোর জায়গাটাই হলো আপনার বাড়ি আমার বাড়ি ও আপনার অঙিনা আমার আঙিনা। অন্যখানে তো অন্য মশা ধরবে। সেজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। নিজেই যখন পরিষ্কার করে রাখবে তখন এডিস মশার জন্ম হবে না।’
 

মন্ত্রী বলেন, তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ২৫ জন করে লোক দিয়েছে, আমরাও নিয়োগ দিয়েছি। তারা সব জায়গায় লার্ভা ধ্বংস করার জন্য কাজ করেন, ঘরে ঘরে লোক যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেছেন। আমরা ওই ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপ করছি, আমরাও সে অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাচ্ছি।
 
এডিস মশা এবার বেশি হবে- এটা রিপোর্ট দিয়েছে মহাখালীর আইইডিসিআর,বির। কিন্তু সিটি করপোরেশন যে ক্র্যাশ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তারা নেয়নি। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি না এরকম রিপোর্ট তারা দিয়েছে। জুন মাস শেষে তারা বলছে। বিষয়টা হলো, আমরা কিন্তু সতর্ক ছিলাম না অথবা আরম্ভ করিনি- এ কথাটা ঠিক না।
 
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু আমরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল, কিন্তু সফল হইনি। একথাটা ঠিক আছে। সিটি করপোরেশনগুলো তাদের দায়িত্ব আমি বলবো তারা পালন করছে না, তবে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা সেখানে তারা পৌঁছেছে- এটাও আমি মনে করি না।
 
ওষুধ পরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞদের ধারণা হলো এবছর যে ওষুধ কার্যকর আগামী বছর তা কমে যেতে পারে। এজন্য রেগুলার রিসার্স করতে হবে, রেগুলার গবেষণা করতে হবে। আমরা সেটা করছি।
 
সারাদেশে ডেঙ্গু ছড়ানো রোধে করণীয় নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেক যানবাহন আসা-যাওয়া করবে। মশা না ছড়ানোর জন্য বাস ছাড়ার আগে স্প্রে করা হয়, ট্রেন ও লঞ্চ মশা নিধন করে ছাড়ে। এজন্য জেলা প্রশাসক ও বাস মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরকে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি