মশা নিধন সভায় ঘুমিয়ে কাটালেন সচিব, ফেসবুকে ঝড়!
প্রকাশিত : ১৯:৩২, ২২ আগস্ট ২০১৯
কখনও ঘুমে ঢুলছেন, তো কখনও আবার হঠাৎ চমকে উঠছেন। কোনও কোনও সময় মুখ হা করে তুলেছেন বিরাট আকারের হাই। এভাবেই মন্ত্রীর উপস্থিতেই মশক নিধন এবং পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক পর্যালোচনা সভার পুরোটা সময়ই ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়!
গতকাল (২১ আগস্ট) রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারের এ সভায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলায় ব্যস্ত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। উপস্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
তবে অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় ঘুমে কাতর ছিলেন সচিব হেলালুদ্দীন। সভার প্রায় পুরোটা সময় ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন তিনি।
মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাইসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।
এদিন বিকেল ৪টায় সভাটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মন্ত্রীর কারণে শুরু হয় আরও দেরিতে। এরপর মন্ত্রীর ডান পাশের চেয়ারে বসেন সচিব হেলালুদ্দীন আর বাম পাশে বসেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সভার শুরুতে মেয়র কথা বলার পর বক্তব্য শুরু করেন মন্ত্রী তাইজুল ইসলাম। তার বক্তৃতার পুরো সময় সচিব হেলালুদ্দীন কখনও হাই তুলেছেন, আবার কখনও দুই হাত বুকের ওপর রেখে ঘুম দিয়েছেন আয়েশি ভঙ্গিতে। মাঝে মাঝে দুই চোখ খুললেও আবার চোখ বন্ধ করে ফেলেন তিনি। মন্ত্রী যখন বক্তৃতা করছিলেন তখন মাঝে মাঝেই চেয়ারে হেলান দিয়ে, ঢুলে ঢুলে ঘুমাচ্ছিলেন সাবেক এই ইসি সচিব।
সম্প্রতি দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সরকার, সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন কর্মকর্তারা বেশ দৌড়ের ওপর রয়েছেন। ডেঙ্গু মৌসুমের শুরুতে পদক্ষেপ না নেয়ায় সমালোচনাও সইতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলকে। এর মধ্যে এমন জনগুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে সরকারের একজন আমলার এভাবে ঘুমানোকে বেমানান বলছেন সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা।
যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। কেউ বলছেন, আহা বেচারা। আবার কেউ বলছেন, ঘুম আসলে কি করবেন তিনি?
আবার আরেকজন লিখেছেন, সারা রাত মশা মারায় ব্যস্ত ছিলো, তাই এখন একটু ঘুমাচ্ছে...! এমনই নানান কমেন্টে ভরে উঠেছে ফেসবুকে পাতা।
এনএস/
আরও পড়ুন