রোহিঙ্গা সংকটে চীন আরো গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে: দূত
প্রকাশিত : ২২:০৭, ২৯ আগস্ট ২০১৯
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন আরো গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর লি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায়সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।’
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গা ঠাঁই নিয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক তাদের বাস্ত্যুচ্যূত করেছে।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জাতিগত এই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর বর্বরোচিত দমনপীড়ন চালালে এরা প্রাণ রক্ষার্থে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু এরপর চুক্তিটি বাস্তবায়নে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।
প্রত্যাবাসন চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ৩ হাজার ৪৫০ জনের রোহিঙ্গার একটি তালিকা ঢাকাস্থ ইউনাইটেড ন্যাশনস রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটরের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর-কে হস্তান্তর করেছে। ইতোমধ্যেই এদেরকে মিয়ানমার রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এরা রাখাইনে ফিরে যেতে ইচ্ছুক কিনা তা নিরূপণ করতে তালিকাটি হস্তান্তর করা হয়।
সরকার বাংলাদেশের তরফ থেকে সকল জরুরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিল। এমনকি রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সাপোর্টেরও ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ ইউএনএইচসিআর এর কাছে যে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট নাগাদ তাদের মধ্যে ৩৩৯টি পরিবারের ১ হাজার ২৭৬ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২২ আগস্ট কোন রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরে যায়নি। তারা মনে করে, সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সার্বিক পরিবেশ এখনো তাদের ফিরে যাবার অনুকূল নয়।
এসি
আরও পড়ুন