শিগগিরই খুলবে মালয়েশিয়া-সৌদি আরবের শ্রম বাজার: বায়রা
প্রকাশিত : ২২:৪৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
শিগগিরই মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের শ্রমবাজার উন্মোচন হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)। একই সঙ্গে জাপানের শ্রম বাজারও বাংলাদেশের জন্য বড় একটি সম্ভাবনার বাজার তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ রাজধানীর বায়রার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের শ্রম বাজার নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে সভায় সংগঠনের সভাপতি বেনজির আহমেদ এসব কথা জানান।
বায়রা সভাপতি বলেন, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবসহ সব বন্ধ শ্রমবাজার বায়রা সদস্যদের জন্য অচিরেই উন্মুক্ত হবে। তিনি বলেন, বন্ধ শ্রমবাজার খুললে কোনো সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি থাকবে না। বায়রার সব সদস্য জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ পাবে। তবে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরকার নির্ধারিত টাকায় জনশক্তি রপ্তানি করতে হবে।
সভাপতি বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের শ্রমবাজার নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ এবং আলোচনায় জনমনে ও জনশক্তি রপ্তানিকারকদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব ও আন্তরিকতার সাথে মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, জনশক্তি রপ্তানিকারী সেক্টরকে আরও অধিক গতিশীল করতে হলে মন্ত্রণালয়, বায়রার সব সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা একান্তভাবে কাম্য। জনশক্তি রপ্তানি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় খাত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রথম খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারসহ সব মহল সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট ১৪টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন হয়েছে।
বায়রা সভাপতি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমুলক তথ্য প্রচার করে শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি আরও বলেন, এখন সৌদি আরবসহ অন্য দেশ শ্রমিক নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া মালয়েশিয়ায় বন্ধ আছে, এজন্য রপ্তানি কমেছে। একটি পক্ষ হয়তো সিন্ডিকেট করতে চাইছে। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইছেন শ্রম রপ্তানি নিয়ে যেনো কোনো সিন্ডিকেট না হয়, আমরাও এটা চেয়েছি।
বায়রা সভাপতি বলেন, আমাদের বড় অর্জন জাপানের শ্রম বাজার রপ্তানি, এটা প্রাথমিক অবস্থায় আছে। আশা করছি অনেক দক্ষ শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ আসবে আমাদের সামনে।
বেনজির আহমেদ বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্যাতন নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানালে সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। আমরা চাইছি যে নিয়োগকর্তা নারী শ্রমিককে নিয়োগ দিয়েছেন, নির্যাতনের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় বায়রা মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, আমাদের দেশে শ্রমিক পাঠানো নিয়ে কোনো সিন্ডিকেট নেই। সিন্ডিকেট করতে হলে সরকারিভাবে হতে হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এটা নিয়ে অনুমতি নেই। মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে মার্কেট সবার জন্য উন্মুক্ত। মতবিনিময় সভায় বায়রার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসি
আরও পড়ুন