কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে পাঠানো হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৭:১৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কোনো রোহিঙ্গাকে আমরা জোর করে পাঠাবো না। তবে আমরা চাই তারা স্বেচ্ছায় তাদের নিজ দেশে ফিরে যাক। এ জন্য মিয়ানমার সরকারকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট- ৩ : সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার সময় ঘরবাড়ির কথা ভাবা হয়নি। ফিরে এসে নিজেরাই ঘরবাড়ি তৈরি করে নিয়েছেন তারা। রোহিঙ্গারাও যখন বাংলাদেশে আসে তখন কিন্তু ঘরবাড়ির চিন্তা করেনি। যখন তাদের যাওয়া শুরু হবে গিয়ে ঠিকই ঘরবাড়ি তৈরি করবে তারা। না গেলে কীভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করবে?
তিনি বলেন, তাদের দেশের লোকদের ফিরিয়ে নিতে রাজি করার দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারের। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা জোর করে কাউকে পাঠাবো না। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি পারুক তাদের দেশের লোকদের তারা বুঝিয়ে নিক।
মিয়ানমার আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করছে কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত নন জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার নিশ্চয় কোনো অ্যারেঞ্জমেন্ট করবে। বারবার আমাদের কাছে ওয়াদা করেছে মিয়ানমার।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কিছুদিন আগেও রাখাইনে কাউকে নিতে রাজি ছিল না। সম্প্রতি সেখানে কয়েকজন রাষ্ট্রদূতসহ আরও কয়েকজনকে তারা রাখাইনে নিতে সম্মতি জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা সেখনে যাবেন। পরিস্থিতি দেখবেন।
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমারের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা দেয়া। তারা যেন নিরাপদ বোধ করে নিজ দেশে ফিরে যায় সেই দায়িত্ব মিয়ানমারের।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, সেটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
আই/এসি
আরও পড়ুন