বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ১২:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১২:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। একাত্তরের এই দিনে খুলনার রূপসা নদীতে শত্র“পক্ষের বিমান হামলায় শহীদ হন এই বীর যোদ্ধা। তাঁর স্মৃতি রক্ষায় নিজ জেলা নোয়াখালীতে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হলেও এখনও পূর্ণতা পায়নি কমপ্লেক্সটি। এদিকে, রুহুল আমিনের সমাধি খুলনা থেকে নোয়াখালীতে স্থানান্তরের দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।
১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির দেওটি ইউনিয়নের বাগপাচড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নৌ-বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৬৫ সালে আর্টিফিসার পদে নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালের মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে, এপ্রিলে পালিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন সাহসী এই যোদ্ধা। ১০ ডিসেম্বর খুলনার রূপসা নদীতে যুদ্ধজাহাজ পলাশে শহীদ হন রুহুল আমিন। পরে রূপসা নদীর পাড়েই সমাহিত করা হয় তাঁকে।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি খুলনা থেকে নিজ জেলা নোয়াখালীতে স্থানান্তরের দাবি তাঁর স্বজনদের। এদিকে ২০০৮ সালে নোয়াখালীতে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর স্থাপিত হলেও এখনো সেগুলো পায়নি পূর্ণতা। গ্রন্থাগার ও স্মৃতি কমপ্লেক্সকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলারও দাবি তাদের।
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দ্রুতই এগুলো সমৃদ্ধ করার আশ্বাস দিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন