অভিযোগের সত্যতা মিললে জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
প্রকাশিত : ১৮:৩০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে পদ ছাড়তে হয়েছে। একই অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা বলছেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হতে পারে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে হচ্ছে অভিযোগের সত্যতা মিললে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপাচার্যকে পদ থেকে সরে যেতে হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কমিশন কেলেঙ্কারির ঘটনায় জাবি উপাচার্য দায় এড়াতে পারেন না। একজন উপাচার্যের কাছে ছাত্রনেতারা কীভাবে কমিশন দাবি করার সাহস পান, এ বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে উপাচার্য কীভাবে বৈঠক করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবিষয় এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, জাবি উপাচার্য একাধিকবার ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারকদের নজরে আছে। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে অব্যাহতির ঘটনার পর এখন উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তোলা হচ্ছে।
কমিশনের বিষয়ে জাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নয়। সারাদেশে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। অনেক শিক্ষক বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। অনেক শিক্ষক এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমলোচনা করছে।
টিআর/
আরও পড়ুন