ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জাতি যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখনই বুদ্ধিজীবী হত্যার উম্মত্ততায় মাতে পাকিস্তানি আর তাদের এ দেশীয় দোসররা

প্রকাশিত : ১৬:১৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৬:১৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

নয় মাসের রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই বুদ্ধিজীবী হত্যার উম্মত্ততায় মাতে পাকিস্তানি হানাদার আর তাদের এ দেশীয় দোসররা। বধ্যভূমি গুলোতে বড় অসহায় নিঃপ্রাণ দেহ পড়ে থাকে দেশের সেরা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক তথা বুদ্ধিজীবীদের। ৭৫ পরবর্তী সময়ে শহীদ পরিবার গুলোর দিন কেটেছে অবর্ণীয় দু:খ-দুর্দশায়। রণক্ষেত্রে নাস্তানাবুদ পাকিস্তানি হানাদার আর তাদের এ দেশীয় দোসররা বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবী হত্যায় মেতে ওঠে। ১৪ই ডিসেম্বর রাতে ব্যাপক হত্যা সংগঠিত হলেও, অনেক আগে থেকেই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় চলে থেমে থেমে বুদ্ধিজীবী হত্যা। শহীদ ডা: আজহারুল হককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নভেম্বরেই। ১৪ ডিসেম্বর মরণ কামড় দেয় উম্মত্ত বদর বাহিনী। স্বাধীন দেশে শহীদ পরিবার গুলোর দিন কাটে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে। আর পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরিস্থিতি হয় আরো দুর্বিসহ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কিছুটা সস্তি দিলেও বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে পালিয়ে থাকা নরঘাতকদের বিদেশের মাটিতেও বিচার করা সম্ভব বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা। বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামে মেধা, মননে প্রেরণা জোগানো বুদ্ধিজীবীদের পথেই চলবে আগামীর বাংলাদেশ, এমন প্রত্যাশা শহীদ পরিবারের সদস্যদের।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি