রোহিঙ্গাদের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
প্রকাশিত : ১৯:০৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৯:০৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মযার্দার সঙ্গে তাদের নিজ আবাসভূমি রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় নিজ বাসভূমি থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সাথে এবং স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমরা আবারো মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহনকারি রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যেতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে মিয়ানমারকে উৎসাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক বাংলাদেশী নাগরিক ও গৃহহারা রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আজ নিউইয়র্কে আরো ১২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।
এতে বলা হয়, এই তহবিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৯ লাখের অধিক রোহিঙ্গার জরুরী প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করবে। দেশ থেকে পালিয়ে আসা এ সকল রোহিঙ্গার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে সহিংস ঘটনার পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের এ পযর্ন্ত ৬৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সংকটের মানবিক সহায়তার আহবানে সাড়া দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের কাছে সহায়তা পৌছে দিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গাদের সহায়তাদানকারি বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছে মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা পৌছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের একার পক্ষে এই সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা সম্ভব নয়, এ জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসতে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে বলা হয়, আমরা অন্যান্য দেশ ও স্টেকহোল্ডারদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছি।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারে আশ্রয় দিয়েছে। এদের অধিকাংশই ২০১৭ সালেরর ২৫ আগস্টের পরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে। বাসস
এসি
আরও পড়ুন