তিস্তা ও এনআরসি নিয়ে কথা বলবে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ২১:৫৫, ২ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ২১:৫৭, ২ অক্টোবর ২০১৯
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভারত সফরে যাচ্ছেন। তিনি শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে এই রাষ্ট্রীয় সফর করছেন শেখ হাসিনা এবং ৩-৪ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম আয়োজিত ইন্ডিয়ান ইকোনোমিক সামিটে ‘প্রধান অতিথি’থাকবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, আসামের নাগরিকপঞ্জি এবং সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ তুলবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বুধবার (২ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ভারতের সাথে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। পাশাপাশি দুই দেশের সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সংস্কৃতি বিনিময়, কারিগরি সহযোগিতা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে ১৫টির বেশি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
ভারত ও বাংলাদেশ বর্তমানে ‘সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক’পার করছে বলে অনেকে মনে করেন। কয়েক দশকের স্থল সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে, সমুদ্র সীমা নিয়েও বিরোধ কেটে গেছে দুই দেশের। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
এছাড়া আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিও অনেক বাংলাদেশীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের আশঙ্কা, ওই তালিকায় বাদ পড়াদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে। তবে সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আসামের নাগরিকপঞ্জির প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না। এটা তাদের ‘অভ্যন্তরীণ’ সমস্যা।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে বৈঠকে নাগরিকপঞ্জির পাশাপাশি তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া, উভয়দেশের সীমান্তরক্ষীদের সহযোগিতায় চোরাচালান বন্ধের মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ভারতের ভেতরে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হবে।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, নৌপথে পণ্য পরিবহন, অর্থনৈতিক, সমুদ্র গবেষণা, মান নির্ধারক সংস্থা, বাণিজ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা নিয়ে চুক্তি সই হবে।
সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টিআর/
আরও পড়ুন