যে অভিযোগে আটক সম্রাট
প্রকাশিত : ১৭:২৭, ৬ অক্টোবর ২০১৯
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। রোববার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে অনানুষ্ঠানিক এক ব্রিফিংয়ে কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক।
এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়: সম্রাটের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের ডিজি বলেন, আমরা যেসব জায়গায় ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি, সেসব জায়গায় সম্রাটের নাম বারবার এসেছে। ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বেনজীর বলেন, সম্রাট আত্মগোপনে থাকার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছিলেন, যাতে তাকে সহজে খুঁজে না পাওয়া যায়। ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দুই-একদিন দিন পরই সম্রাট ঢাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। সম্রাটের সঙ্গে আরমান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে, তিনি এই ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
ক্যাসিনোর সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে? র্যাব মহাপরিচালক এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো বন্ধ করেছি। ক্যাসিনোর সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। যারা ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আামাদের অভিযান চলমান আছে।
তিনি বলেন, এটা একটা বড় ধরনের স্ট্র্যাটিজি। এর সুফল জনগণ আগামিতেও উপভোগ করতে পারবে। তবে এর ধারা ধরে রাখতে হলে শুধু একটি ফোর্স নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল ফোর্সকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। এদেশে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবেন, সবাই আইন মেনে চলবেন৷ কেউ যদি আইন অমান্য করে বেআইনি কাজে লিপ্ত হন, তবে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
অন্যদিকে রোববার দুপুর থেকে সম্রাটের কাকরাইলস্থ কার্যালয়ে অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে তার কার্যালয়ে যায় র্যাবের একটি দল। এসময় তারা ভবনের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলছিল।
এর আগে রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সম্রাটকে তার সহযোগী ক্যাসিনো আরমানসহ আটক করা হয়।
আরকে//
আরও পড়ুন