বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, বহিষ্কার ১৯ ছাত্র
প্রকাশিত : ১৮:২২, ১১ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৮:৪৮, ১১ অক্টোবর ২০১৯
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যায় ঘটনায় শিক্ষার্থীদের টানা ৫ দিনব্যাপী আন্দোলনের মুখে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সবধরণের রাজনীতি।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এ কথা জানান।
এর আগে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে উপাচার্য মিলনায়তনে প্রবেশ করেন। বৈঠকে উপাচার্য ছাড়াও ডিএসডব্লিউ পরিচালকসহ সাতজন মঞ্চে বসেছেন। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫, ১৬ ও ১৭তম ব্যাচের সব শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এদিন শুক্রবার সকালে ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরাদের ১০ দফা দাবির দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না, দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের কোন সদিচ্ছাও দেখছি না। উপাচার্য স্যারকে আমাদের সঙ্গে বসার আহ্বান জানালেও তিনি আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা বলেছি, যেহেতু আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের, তাই শুধু প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে হবে না। সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং গণমাধ্যমের উপস্থিতিতেই কথা বলতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য স্যার রাজি হয়েছেন। বুয়েট মিলনায়তনে এই আলোচনা হবে। টেলিভিশন চ্যানেল এবং প্রতিষ্ঠিত অনলাইন ও পত্রিকার দু’জন করে প্রতিনিধি থাকতে পারবেন বৈঠকে। তবে বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। উপাচার্যের অনুরোধে সংলাপ চলাকালে কোনো প্রশ্ন না করতেও তারা আহ্বান জানান গণমাধ্যমকর্মীদের।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আবরারের লাশকে পুঁজি করে অনেক বহিরাগতই তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। আমরা আহ্বান জানাই আবরারের লাশ নিয়ে কেউ কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন না।
এর আগে, বুয়েটে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে উপাচার্য তাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে বুয়েটের সব ভবনে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে। তবে উপাচার্য আলোচনায় বসতে রাজি হওয়ায় তারা দুপুরের সময়সীমা থেকে পিছিয়ে এসেছেন।
আই/এসি
আরও পড়ুন