ভোলার ঘটনা পরিকল্পিত: সম্প্রীতি বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ২০:৪৭, ২২ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ২০:৫৮, ২২ অক্টোবর ২০১৯
হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করতে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ‘পরিকল্পিত অপচেষ্টা’ হয়েছে বলে মনে করছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার কথা ছড়িয়ে রোববার দুপুরে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যপূর্ণ ও অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সম্প্রীতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতেও সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বোরহানউদ্দিনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। চার জনের প্রাণহানির কথা জানা যায় গণমাধ্যমে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। শত সহস্র বছরের সংস্কৃতিতে লালিত সম্প্রীতির বাংলাদেশে সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।”
বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভ নামের এক যুবক শুক্রবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি তার ফেইসবুক আইডি হ্যাকারের কবলে পড়ার কথা জানান। শুভর মেসেঞ্জারে ‘নবীকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য’ ছড়িয়ে সেই ‘স্ক্রিনশট’ ব্যবহার করে গত শুক্রবার থেকে বোরহানউদ্দিনে উত্তেজেনা সৃষ্টি করা হয়।
ভোলার ঘটনায় দেশে একটা ‘অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে’ বলে সবাইকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোরহানউদ্দিনের ঘটনার সঙ্গে কক্সবাজারের রামুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনার মিল পাওয়া যাচ্ছে।
ফেইসবুক ধর্ম অবমাননান গুজব ছড়িয়ে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু উপজেলায় হামলা চালিয়ে লুটপাটসহ ১২টি বৌদ্ধ মন্দির ও ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রসরাজ নামে এক হিন্দু মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে লোকজনকে খেপিয়ে তুলে ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়।
সে দুই ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সম্প্রীতি বাংলাদেশ বলেছে, “বোরহানউদ্দিনের ঘটনাকে পুঁজি করে দেশের আর কোনো স্থানে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাই।”
টিআর/
আরও পড়ুন