পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতের আস্তানা ধ্বংস করলো র্যাব
প্রকাশিত : ১৮:০৫, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে ডাকাতদের চার-পাঁচটি আস্তানা ধ্বংস করেছেন র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এসব আস্তানায় ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারের কাজে ব্যবহৃত বলে জানিয়েছে র্যাব। এ কাজে ড্রোন ব্যবহার করে র্যাব।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে দুপুর দেড় পর্যন্ত টেকনাফের নয়াপাড়া, শালবাগান ও জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ টেকনাফ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স) একথা জানিয়েছেন।
শাহেদ মাহাতাব বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে গহিন পাহাড়ের ভেতরে ডাকাতের আস্তানার সন্ধান পায় ড্রোন। পরে পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আস্তানাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। আব্দুল হাকিমসহ বাকি ডাকাতদের খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় কয়েকজন ডাকাতকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অন্যরা শিগগিরই ধরা পড়বে।
লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব আরও বলেন, টেকনাফের নয়াপাড়া, জাদিমুড়া ও শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ত্রাস ডাকাত মোহাম্মদ জকির, কালা সলিম, নুর কামাল, বুইল্লা, রাজ্জাক ও আমিনসহ তাদের গ্রুপের সদস্যরা পাহাড়ে আস্তানা গড়ে তুলেছে। এদের সর্দার রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম। তাদের ধরতে র্যাব এই অভিযান পরিচালনা চালায়।তাদের চার-পাঁচটি আস্তানা ধ্বংস করলেও কাউকে আটক করা যায়নি।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদের নেতৃত্বে র্যার ড্রোন নিয়ে টেকনাফের বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালায়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে নয়াপাড়া শালবাগান ত্রাস কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সরদার এবং আনসার বাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার হত্যার আসামি নুর আলম প্রকাশ জুবাইর ডাকাত নিহত হন।
আরকে
আরও পড়ুন