কর্ণফুলীতে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণ হচ্ছে
প্রকাশিত : ১৯:১৫, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
চট্টগ্রাম বন্দরে দুর্ঘটনার পর জাহাজের তলা ছিদ্র হয়ে কর্ণফুলী নদী এবং আশপাশের খালে ছড়িয়ে পড়ছে জ্বালানি তেল। ব্যাপকভাবে তেলের দূষণ ঠেকাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেগুলো অপসারণের চেষ্টা করছে। পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা তেল ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পেয়ে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ দু’টির মালিককে নোটিশ পাঠিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটি-৩ সংলগ্ন এলাকায় দেশ-১ নামে একটি অয়েল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সিটি-৩৪ নামে একটি জাহাজের সংঘর্ষ হয়। এতে দেশ-১ জাহাজের তলা ফুটো হয়ে তেল নিঃসরণ হতে থাকে। ঘটনার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ দু’টি আটক করে বলে জানিয়েছেন বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
সচিব জানান, দুর্ঘটনার পর প্রায় ১০ মেট্রিক টন ডিজেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেগুলো শাখা খালেও ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার বিকেলে তেল নিঃসরণের বিষয়টি জানতে পেরে অপসারণের নামে বন্দরের টিম।
চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজ দেশ-১ এ ১ হাজার ২০০ টন ডিজেল ছিল। পদ্মা জেটি থেকে তেল নিয়ে জাহাজটি খুলনা যাবার কথা ছিল। দুর্ঘটনার পর বন্দরের তেল অপসারণকারী জাহাজ বে ক্লিনার- ১ ও ২ তেল অপসারণে কাজ করছে। তাদের সহযোগিতা করছে কাণ্ডারি-৮, ১০ ও ১১ নামে বন্দরের আরও তিনটি নিজস্ব জাহাজ।
‘জোয়ার-ভাটার কারণে কিছু তেল জাহাজের গায়ে লেগে গেছে। কিছু তেল শাখা খালেও ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা অপসারণের চেষ্টা করছি। এর মধ্যে প্রায় ৮ মেট্রিক টন তেল অপসারণ করা হয়েছে। বাকি তেলও অপসারণ করা হবে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা ও নদীতে চলাচলরত নৌকার মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর জোয়ারের পানিতে তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। ভাটার টানে সেই তেল আবার সাগরেও গিয়ে পড়ে। নৌকার মাঝিরা নদীর সাথে সংযুক্ত ৭ নম্বর খালেও তেল ভাসতে দেখেছেন। শনিবার দুপুরে নদীর উজানে এবং খালে তেল বেশি ভাসতে দেখেছেন মাঝিরা।
নদীতে জ্বালানি তেল ভাসার প্রমাণ পরিদর্শনে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সংযুক্ত দাশগুপ্তা। তিনি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ দু’টির মালিককে রোববার (২৭ অক্টোবর) শুনানিতে হাজিরের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
আরকে//
আরও পড়ুন