বুলবুলের গতিপথ সুন্দরবন, ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত
প্রকাশিত : ১৮:২৯, ৮ নভেম্বর ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শুক্রবার সন্ধ্যায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে সুন্দরবনে (ভারতের অংশে) আঘাত হানতে যাচ্ছে। আরও শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঝড়টি। যার প্রেক্ষিতে সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার বিকালের পর বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বুলবুলের প্রভাব অনুভূত হতে পারে। আর খুলনা অঞ্চল দিয়ে মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল বুলবুল।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর বলছে, ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে বুলবুল অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এতে সংকেত বাড়িয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহি:নোঙ্গর ও জেটিতে দুপুর পর্যন্ত পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও সংকেত বাড়লে নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ বন্ধ করে হবে।
এমএস/এনএস
আরও পড়ুন