ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ভুয়া এনআইডি দেওয়ার অভিযোগে ফের দুই নির্বাচনকর্মী গ্রেফতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২২, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৮:২৪, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে সেদেশের কয়েক লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আশ্রয় গ্রহণ করেন। বিভিন্নভাবে তারা বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। অবৈধ বাংলাদেশির পরিচয় বহন করে করছেন বিদেশ যাত্রা। এতে দেশের সরকারী বিভিন্ন মহলের লোকজনসহ অনেকেই তাদের সহযোগিতা করছেন। 

রোহিঙ্গাদেরকে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবারও নির্বাচন কমিশনের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আবুল খায়ের ভুঁইয়া (৪৫) ও মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন (৪৫)।

নির্বাচন কমিশনের অনুমতি পাওয়ার পর মঙ্গলবার তাদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া জানান। তিনি বলেন, ‘এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে তোলা হয়েছে।’

এ নিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজেশ। আটজনের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের জবানবন্দি ও অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘সরকারি চাকরি বিধিমালা-২০১৮’র ৪১ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুমতির পর তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গেল আগস্টে এক রোহিঙ্গা নারী ভুয়া এনআইডি সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট নিতে গিয়ে ধরা পড়ার পর জালিয়াত চক্রের খোঁজে নামে নির্বাচন কমিশন। এ সময় রোহিঙ্গা সন্দেহে অর্ধশত জাতীয় পরিচয় পত্রের বিতরণ বন্ধ করা হয়। 

জানা যায়, এমন জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে তার দুই সহযোগী ও একটি ল্যাপটপসহ আটক করে পুলিশে দেন কর্মকর্তারা। বাকি দুজন হলেন জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ। ঐ ঘটনায় চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানায় মামলা দয়ের করেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা। বর্তমানে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট মামলাটির তদন্ত করছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই কর্মচারিরা ২০১৪ সাল থেকে জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি দেওয়ার কাজ শুরু করলেও গত তা ব্যাপকতা পায়।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি