ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ারকে হাইকোর্টের তলব
প্রকাশিত : ১৬:০২, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান’র (র্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পর দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে তিন মাসেও আদেশের সার্টিফাইড কপি না দেয়ায় তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর তাকে আদালতে উপস্থিত হয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসাইন জানান, মোবাইল কোর্টে দেয়া সাজার আদেশের অনুলিপি না দেয়ায় র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে র্যাব সদর দফতরের ১৮ জুলাই দেয়া ৪৪০/২০১৯ নম্বর মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী সাত দিনের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে একই বেঞ্চ মোবাইল কোর্টের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তির আবেদনের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার সার্টিফায়েড কপি সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে এ আদেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে ‘মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০’ এর অধীনে ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন সারোয়ার আলম। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলের জন্য আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আজও এটা পাওয়া যায়নি।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন