দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ২৫৫০ মিটার
প্রকাশিত : ১৪:৪১, ২৬ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৪:৪২, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
শরীয়তপুরের জাজিরা অংশে পদ্মা সেতুর ১৭তম স্প্যান বসানো হয়েছে। ২২ ও ২৩ নং পিলারে বসানো ওপর এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো স্বপ্নের এই সেতুর ২ হাজার ৫৫০ মিটার (২.৫৫ কিলোমিটার)।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ‘৪ডি’ নম্বর স্প্যানটি ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাছ থেকে ভাসমান জাহাজ পাজা করে ধরে রওনা হয় সকাল ঠিক ১০ টায়। ৩৭ মিনিটেই প্রায় এক কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে এটি পৌঁছে যায় গন্তব্যে অর্থ্যাৎ ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটির সামনে।
এর আগে গতকাল সোমবার স্প্যানটি মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরা প্রান্তে আনা হয়। স্প্যানটি মাওয়া থেকে ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে এনে ২২ ও ২৩ নং পিলারের ৩০০ গজ দূরে মাঝামাঝি স্থানে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
১৬তম স্প্যান বসানোর মাত্র সাত দিনের মাথায় বসানো হলো এই স্প্যান। এছাড়া আগামী ৪ বা ৫ ডিসেম্বর ১৮তম স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে। ১৮তম স্প্যানটি বসবে ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটিতে। পরবর্তীকালে ডিসেম্বরেই ২১ ও ২২ নম্বর খুটিতেও স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ৩৩-৩২ ও ৩১-৩২ নম্বর খুঁটিতেও স্প্যান বসবে অল্প সময়ের মধ্যে। খুঁটি এবং স্প্যান তৈরী হয়ে যাওয়ায় দ্রুত অল্প সময়ের ব্যবধানে স্প্যান উঠতে থাকবে।
এদিকে, চীন থেকে আরও দু’টি স্প্যান বাংলাদেশে পৌঁছেছে। সমুদ্র পথে ১৯ নভেম্বর বিকালে স্প্যান দু’টি মোংলা পোর্টে এসে পৌঁছায়। কাস্টমসের কাজ চলছে এখন। ৪ থেকে ৫ দিন পরই এই দু’টি স্প্যানও মাওয়ায় এসে পৌঁছার কথা রয়েছে।
সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩৩টি খুঁটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া ৭ নম্বর খুঁটির কাজ চলতি মাসেই শেষ হতে যাচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ৬ ও ৩০ নম্বর খুঁটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। আর বাকি ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাজ আগামী মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। অনেক ষড়যন্ত্র পেরিয়ে পদ্মা সেতু এখন নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত গতিতে কর্মযজ্ঞ চলছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।
একে//
আরও পড়ুন