রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার সরকার
প্রকাশিত : ১০:৪২, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১০:৪২, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শর্তসাপেক্ষে রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়াসহ মানবাধিকার সংস্থার পাঠানো সাহায্য নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার সরকার। শর্ত অনুযায়ী সরাসরি নয়, সরকারের হাত হয়েই মানবিক সাহায্য যাবে রাখাইন রাজ্যে। এদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি।
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন ছুঁয়ে গেছে পুরো বিশ্বকে। শত চেষ্টা করেও রাষ্ট্রীয় এ নির্যাতনের খবর কোনোভাবেই লুকাতে পারেনি মিয়ানমার। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে আসা রোহিঙ্গারা সঙ্গে করে নিয়ে আসছে নির্যাতন আর নিঃস্ব হওয়ার করুন কাহিনী।
জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা আর প্রতিবেশী দেশগুলো বার বারই মিয়ানমার সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানালেও প্রথম দিকে একেবারেই নীরব ছিল সুচির সরকার। তবে চাপের মুখে পড়ে টনক নড়ে।
এরইমধ্যে মালয়েশিয়ার পাঠানো সাহায্য নিতে রাজি হয়েছে দেশটি। তবে এ ক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়া কূটনৈতিকভাবে হতে হবে। এছাড়া শুধুমাত্র রোহিঙ্গারাই নয় রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যেও সমভাবে বন্টন করতে হবে সাহায্য।
অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়াদের মধ্য থেকে প্রায় আড়াই হাজার নাগরিককে ফেরত নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কিছুই জানায়নি মিয়ানমার সরকার। যদিও মিয়ানমারের দূত রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে এসে আলোচনা করে গেছেন।
চাপের মুখে পড়ে উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে রোহিঙ্গারা নিজ ভূমিতে ফিরতে পারবে কি-না সে শংকা থেকেই যায় ।
আরও পড়ুন