যে কোনো দুর্যোগেও পাশে দাঁড়ায় বিজিবি: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১২:২৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু আমাদের সীমান্ত রক্ষা নয়, যেকোনো দুর্যোগেও বিজিবি মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বিভিন্ন দুর্ঘটনা, প্রকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস সবসময় তারা জনগণের পাশে থাকে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় পিলখানায় বিজিবি দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির অবস্থারও যাতে উন্নতি হয় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে বিজিবিকে আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং পোশাকের ডিজাইন সব কিছুই আমরা ঠিক করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে আমরা নতুন করে তা করে দিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা চাই, সবসময় এই বাহিনী আরও সুরক্ষিত থাকুক। জাতির পিতা নির্দেশ দিয়ে গেছেন, সেখানে আমার আর কিছুই বলা লাগে না। তিনি যে বক্তব্য দিয়ে গেছেন তাতে আমার মনে হয়, সব সময়, সব কালের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ, দেশে যে কোনো ধরনের চোরাচালান বন্ধ করা, মাদক পাচার-শিশু ও নারী পাচার থেকে শুরু করে অবৈধ অনুপ্রবেশ- সেগুলো বন্ধ করা, এটা বিজিবির একান্ত দায়িত্ব।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল একেবারে অরক্ষিত ছিল। বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় যাতে কাজ করতে পারেন তার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আমরা বিজিবিতে দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টারও দিয়েছি। কারণ দুর্গম এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে যাওয়া বা রেশন পৌঁছানো অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হয়। এছাড়া কেউ অসুস্থ হলে তাদের নিয়ে আসার জন্য হেলিকপ্টার প্রয়োজন হয়।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় বিজিবি সদস্যদের কাছে একটাই চাওয়া- একটা সুশৃঙ্খল ও দক্ষ বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ একান্তভাবে প্রয়োজন। তাই উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য সাতকানিয়ায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের পাশাপাশি চুয়াডাঙায় একটা প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।
একে//
আরও পড়ুন