শীতে কাঁপছে সারাদেশ, মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
প্রকাশিত : ০৯:৪২, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১১:০৩, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে হিমেল বাতাস, তার উপর আবার সূর্যের দেখা নেই। সবমিলিয়ে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতজনিতে রোগে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে।
হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে পঞ্চগড়। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ। বুধবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর ঢাকায় ওই সময় থার্মোমিটারের পারদ ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দুদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে ঢাকা খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা আরেকটু কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রা পেতে পারে।
রংপুর বিভাগে প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ বইছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, এ বিভাগের ৮ জেলায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ নিউমোনিয়া- শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৯ হাজারেও বেশি যার অধিকাংশই শিশু। এরমধ্যে দুজন মারা গেছে বলে জানান তিনি।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে আরো একটি শৈত্য প্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনাজপুরে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ছিন্নমুল মানুষ। গত দু’দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীরা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ১৫ জন ভর্তি হয়েছে একইসঙ্গে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জন ভর্তি হয়েছে।
হিমেল হাওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। ছিন্নমূল মানুষ খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
হাড় কাঁপানো শীতে গাইবান্ধার জন জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। দোকানগুলোতে বাড়ছে গরম কাপড় কেনার ভিড়।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌরুটে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছে দুর্ভোগে। পারাপারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যানবাহন।
একে//
আরও পড়ুন