সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের খরচ নির্ধারণ করে দিল ইসি
প্রকাশিত : ১৬:৫৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯
অনুষ্ঠিতব্য ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ-ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা নির্বাচনী কাজে ব্যয় করতে পারবে।
তবে কোন পদের প্রার্থী কত ব্যয় করতে পারবেন তা নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্ধারণ করে দিয়েছে। একই সাথে প্রার্থীদের জামানতও নির্ধারিত করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার ভোটার অনুযায়ী এসব নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা যায়।
দুই সিটিতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে যত ভোটার থাকুক না কেনো, জামানত ১০ হাজার টাকা, নির্বাচনী ব্যয় ৬ লাখ টাকা এবং ব্যক্তিগত ব্যয় ৫০ হাজার পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। আর মেয়র প্রার্থীদের জন্য ১ লাখ টাকা জামানত, ২ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় ধার্য করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, দুই সিটিতে ভোটার অনুযায়ী ৪ ক্যাটাগরিতে জামানত ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। যেসব ওয়ার্ডে ২০ হাজারের কম ভোটার সেখানকার কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এসব কাউন্সিলর প্রার্থী সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্বাচনী ও ১০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় করতে পারবেন।
২১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার রয়েছেন এমন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ২০ হাজার টাকা জামানত ধার্য করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ২ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় এবং ২০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত খরচ করতে পারবেন। অপরদিকে ৩১ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত ভোটার থাকলে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ৩০ হাজার টাকা জামানত দেবেন এবং সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় ও ৩০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় করতে পারবেন। এর বেশি ভোটার রয়েছেন এমন ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলর পদে ৫০ হাজার টাকা জামানত, ৬ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় এবং ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় ধার্য করে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, দুই সিটির মধ্যে ডিএনসিসিতে ওয়ার্ডের সংখ্যা ৭৫টি। ডিএনসিসিতে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৮ হাজার ৮৬৩ জন। আর ডিএসসিসিতে এ সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষদিন ৯ জানুয়ারি। দুই সিটি নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন