হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা
প্রকাশিত : ১০:২৮, ৫ জানুয়ারি ২০২০
তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমছে না শীতের তীব্রতা। বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বৃষ্টি আর কুয়াশায় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকটি জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা অথবা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা উত্তরের জেলা রংপুর। কমেনি শীতের প্রকোপ। বিশেষ করে তিস্তা তীরবর্তী রংপুরের নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় হিমেল বাতাসে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। আগুন পোহাতে গিয়ে আরও এক বৃদ্ধা দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে গত তিনদিন ধরে দুপুরে কড়া রোদ দেখা গেলেও সকাল-সন্ধ্যা ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। দিনে রোদ আর রাতে কুয়াশার কারণে কোল্ড ইনজুরিতে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের চারা ও বীজতলা। আলুর গাছ আক্রান্ত হচ্ছে ব্লাইডস রোগে। ফলে আলু ও বোরোর আবাদ নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা।
চুয়াডাঙ্গায়ও কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা। হলুদ বর্ণ ধারণ করে মরে যাচ্ছে চারা। এতে দুশ্চিন্তায় চাষিরা।
বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা বেড়েছে সিরাজগঞ্জেও। শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটেখাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। কোল্ড ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। এছাড়া নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও আগুনে পোড়া রোগীও ভর্তি হচ্ছে এই হাসপাতালে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে এবং ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
একে//
আরও পড়ুন