দেশে দেশে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু
প্রকাশিত : ১১:০৬, ১১ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১০:৪৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২০
শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী- পিআইডি
দেশে দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জন্মশতবার্ষিকির ক্ষণগননার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এ আয়োজন করা হয়। ঢাকার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা, ব্রাসেলস, টোকিও, ক্যানবেরা, ইসলামাবাদ, করাচি, কলম্বো, সিউল, কায়রো ও হ্যানয় থেকে বাংলাদেশ মিশনগুলো তেক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
জানা যায়, নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে শুক্রবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু’র জন্ম শতবর্ষ পালন উপলক্ষে ঢাকায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ক্ষণগণনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে যোগদানকারিগন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ, মুজিব বর্ষের লোগো উন্মোচন এবং ক্ষণগণনার ডিজিটাল ডিসপ্লে প্রত্যক্ষ করেন।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়। জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি ওয়েব ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে। ক্ষণগণনার ঘড়ি স্থাপনের পর অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও করাচিতে উপহাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে মোমবাতি জ্বালিয়ে ক্ষণগণনার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ ছাড়া আলোচনা সভা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা ছিল। আলোচনায় অংশ নেন ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।
এমএস/
আরও পড়ুন