চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
প্রকাশিত : ০৯:৫৬, ১৩ জানুয়ারি ২০২০
ভোট প্রদানের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন ভোটাররা- সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টার শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ। প্রার্থীদের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও প্রশাসন বলছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতেই ভোটকেন্দ্রে আনা হয়েছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) নির্বাচনী সরঞ্জাম।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। আশা করি, কোনো ধরনের অভিযোগ থাকবে না, এমন একটি নির্বাচন করতে পারব। ভোটের আগে দৃশ্যত এ নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ আছে। গতকাল পর্যন্ত কোনো ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাদের বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাসায় গিয়ে ভোটকেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।’
জাসদ নেতা ও সংসদ সদস্য মঈনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির একই জেলা কমিটির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক এবং ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত নির্বাচন করছেন।
তবে আওয়ামী লীগের মোছলেম ও বিএনপির সুফিয়ানের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটাররা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, নগরী ও উপজেলার ১৭০টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৯৬টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলা, মহানগরীর চান্দগাঁও ও বায়েজিদের কিছু অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসন গঠিত। এই আসনে চার লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ জন ভোটার আছেন। এর মধ্যে দুই লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ জন নারী।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মেনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘাতের আশঙ্কা নেই, তারপরও সংঘাত হলে মোকাবিলার প্রস্তুতি আছে বলে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, ‘ফ্রেশ এবং ফেয়ার ইলেকশন হবে। গ্রামের সব কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার এক সঙ্গে কাজ করবে। সুন্দর নির্বাচন হবে।’
জানা যায়, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ৪ জন এবং সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৫ জন পুলিশের সঙ্গে ১১ জন আনসার সদস্য থাকবে। এ ছাড়া ৫ প্লাটুন বিজিবি, ৬ প্লাটুন র্যাব, ১৪টি মোবাইল ফোর্স ও ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবির মোবাইল টিমে থাকবেন ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
এমএস/
আরও পড়ুন