ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

আয় বাড়াতে গিয়ে মেধা পাচার হয়ে না যায় নজর রাখার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশিত : ১৪:২৩, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৪:২৩, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয় ১১ শতাংশ। তবে এই আয় আরো বাড়াতে গিয়ে যাতে, মেধা পাচার হয়ে না যায় সেদিকে নজর রাখার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শীর্ষ মেধাবীদের ধরে রেখে মাঝারী মানের শ্রমশক্তিকে অভিবাসনযোগ্য দেশে পাঠানোই কৌশল হওয়া উচিত বলেও মত তাদের। অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা, আইওএমের তথ্যমতে, বিশ্বের ১৫৭ দেশে আছে ৯০ লাখেরও বেশী বাংলাদেশী। অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের ৬০ ভাগই আরব দেশগুলো থেকে পাঠান প্রায় ৬০ লাখ বাংলাদেশী। ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ার মত উন্নত দেশগুলোর ১৫ লাখ প্রবাসী যোগান দেন প্রায় ৩০ শতাংশ। আইওএমের তথ্য বলছে, বাংলাদেশী অভিবাসীদের প্রায় প্রত্যেকেই শ্রমিক, যদিও তার ৫২ শতাংশ স্বল্পদক্ষ, ১৫ শতাংশ আধাদক্ষ ও দক্ষ ৩২ শতাংশ। ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞসহসহ পেশাদার অভিবাসীর সংখ্যা ১ শতাংশেরও নীচে। তাই বাংলাদেশ থেকে মেধাপাচারের বড় ঘটনা ঘটেনি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে উন্নত দেশে শিক্ষা-দিক্ষার পর শীর্ষ মেধাবীদের ফিরিয়ে এবং দ্বিতীয় স্থরের মেধাবীদের স্থায়ী হওয়ার সুযোগের পরিকল্পনা নিতে নীতিনির্ধারকদের তাগিদ দিয়েছেন তারা। পোষাক শিল্পের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের লোকের ঘাটতি মেটাতে বিদেশীদের পেছনে বৈদেশিক মুদ্রা খরচের মত ঘটনা যাতে অন্য খাতে যাতে না হয়, সেদিকেও নজর রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি