‘পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের প্রস্তাব পেলে বিবেচনা’
প্রকাশিত : ২২:৩২, ১৬ জানুয়ারি ২০২০
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন করে ভারতের প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল কোনো প্রস্তাব বাংলাদেশ পায়নি বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
জানা যায়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করার পর বিপদে পড়েছেন ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার। ফলে, বাংলাদেশকে আমদানিকৃত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে পেঁয়াজ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাইস (দাম) কী সেটা ম্যাটার না। আমরা আনুষ্ঠানিক এ রকম কোনো প্রস্তাব পাইনি। এ ছাড়া এটা আমাদের কনসিডারেশনে (বিবেচনা) নেই। এ ধরনের প্রস্তাব এলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়েই আসবে।’
যদি প্রস্তাব আসে তাহলে সরকার কী করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রোপোজাল আসলে দেখে বিবেচনা করব, কী ধরনের প্রোপোজাল। কিন্তু আমরা তো এখন নিজেরাই সরাসরি আমদানি করছি। তারপরও যদি সুইটেবল হয় দেখা যাবে। বাট, এখন আমাদের এটা কনসিডারেশনে নেই।’
এদিকে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করার পর বিপদে পড়েছে দেশটির সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানির পর ভারতের বেশিরভাগ রাজ্য সরকার তাদের চাহিদা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এ বিপদ দেখা দিয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে গত সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রকিবুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দেশিয় চাহিদার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ রাজ্য সরকাররা কিনতে রাজি না হওয়ায় বাংলাদেশকে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারত বিদেশ থেকে মোট ৩৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করেছে। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজার টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রদেশের সরকার আমদানিকৃত পেঁয়াজের মাত্র ৩ হাজার টন নিয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহেরু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায়।
এর আগে ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে চরম সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। ৩০ থেকে ৪০ টাকার পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। মিয়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক, চীন ও মিশরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরও নিয়ন্ত্রণহীণ হয়ে পড়ে দাম।
প্রায় ৩ মাস পর নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। এখনও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়।
এআই/এসি
আরও পড়ুন