নির্বাচনে পর্যবেক্ষক: বাংলাদেশি না রাখতে দূতাবাসগুলোকে চিঠি
প্রকাশিত : ২২:১৭, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২২:৪৮, ৩১ জানুয়ারি ২০২০
সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর- সংগৃহীত
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদেশী দূতাবাসগুলো পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশিরা ‘বিদেশী পর্যবেক্ষক’ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন দিলেও নির্বাচনে বাংলাদেশি পর্যবেক্ষক না রাখার আহ্বান জানিয়ে বিদেশি মিশনগুলোকে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশিদের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।
আজ শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। ওইসব মিশনকে এ বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইসি সচিব জানান, কেউ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও তিনি বাংলাদেশি নাগরিক হলে স্থানীয় পর্যবেক্ষক হবেন। এটা হলো আমাদের নির্বাচনি বিধি। তারা আন্তর্জাতিক হিসেবে বিবেচিত হবেন না, স্থানীয় হিসেবে হবেন। তাদের সেইভাবে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সব কূটনৈতিক মিশনে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের বিদেশিদের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী, দূতাবাসের কোনো বাংলাদেশি কর্মী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না।
এতে বলা হয়, ঢাকায় কূটনৈতিক মিশনগুলো আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের পর্যবেক্ষক দলে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়টি খুবই প্রশংসনীয় হবে।
ভোট পর্যবেক্ষণে ১০টি পশ্চিমা দেশের দূতাবাস থেকে নিয়োগ করা ৭৪ জনকে অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, যারা বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা/কূটনৈতিক মিশনের বিদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও স্থানীয়দের স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে গণ্য করা হবে। তার জন্য দেশি ও বিদেশিদের জন্য আলাদা নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।
তবে দেশি কর্মীদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন করেছে দূতাবাসগুলো। নির্বাচন কমিশন সেভাবেই তাদের জন্য পরিচয়পত্র ইস্যু করেছে। বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক একজন নির্বাচন কমিশনার। এ ভুলের দায়ভার দূতাবাসগুলোর নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন