ইভিএমে ভোট দিবেন যেভাবে
প্রকাশিত : ০৮:৫৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আজ শনিবার সকাল থেকে ঢাকার দুই সিটিতে শুরু হয়েছে ইভিএমে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথমবারের মত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে এবার উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন শুরুর আগে ইভিএম ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারপরও সাধারণ ভোটারদের মাঝে এই যন্ত্রটি নিয়ে অনেকটা অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। এখনও ততটা পরিচিত হতে পারেনি। তাই অনেকের মধ্যে ভোট দেওয়া নিয়ে শঙ্কা বিরাজ করছে। আবার ভুলভাবে ভোট দিয়ে আসলে সেই ভোটও বাতিল হয়ে যেতে পারে।
তাই জেনে নিন ইভিএমে ভোট দিবেন কিভাবে-
ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর নির্ধারিত কক্ষে প্রিসাইটিং অফিসার আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর যাচাই করে ভোটার হিসেবে নিশ্চিত করবেন। এ সময় আপনার ছবি ও তথ্যাবলি একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে। যাতে সব প্রার্থীর এজেন্ট আপনার পরিচয় দেখতে পারেন।
আপনি ভোটার এটা শনাক্ত হওয়ার পর ইভিএমে ভোট দিতে যাবেন। যতগুলো পদের জন্য ভোট প্রদান করতে হবে কক্ষের ভেতরে ঠিক ততগুলো ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা থাকবে। এই ইউনিটে প্রার্থীদের প্রতীক বামপাশে এবং নাম ডানপাশে দেখা যাবে।
নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে প্রতিকের বামপাশের কালো বাটনে চাপ দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে বাতি জ্বলে উঠবে। এরপর ভোট নিশ্চিত করতে ডানপাশের সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য পদের জন্যও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
তবে কোনো কারণে ভুল প্রতীকে ভোট দিয়ে ফেললে সবুজ বাটনে চাপ দেওয়ার আগেই সেটা সংশোধন করা যাবে। ডান পাশের লাল বাটনে চাপ দিলেই ভোটটি বাতিল হয়ে যাবে। এবার নতুন করে আবার ভোট দেবেন। সবুজ বাটনে চাপ দিলেই আপনার দেওয়া ভোট ছাড়া বাকি সব প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে বুঝতে পারবেন আপনার ভোট প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়েছে।
তবে যারা নতুন ভোটার কখনো ইভিএমে ভোট দেয় নাই বা ইভিএম দেখেই নাই তারা গোপন কক্ষে প্রবেশের আগেই তাদের জন্য কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার নমুনা থাকবে। তারা সেখান থেকে দেখে ভোট দিতে পারবে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রার্থীকে ভোট দেবে বা যে মেয়রকে ভোট দিতে ইচ্ছুক সেই বাটনে চাপ দিতে হবে। সেখানে তিনটি ইভিএমের অংশ থাকবে। মেয়র, কমিশনার, সংরক্ষিত মহিলা কমিশনার। এই তিন মেশিনে আলাদা আলাদাভাবে ভোট প্রয়োগ করতে হবে।
মেয়রকে ভোট দেওয়ার পর কমিশনার বা মহিলা কমিশনারকে ভোট দিতে না চাইলে কেনসেল বা লাল বাটনে চাপ দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে। অর্থ্যাৎ মেয়রকে ভোট দেওয়ার পর কাউন্সিলরকে ভোট না দিলে কেনসেল বাটনে চাপ দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে। কিন্তু কেনসেল না দিয়ে চলে আসলে তার দেওয়া মেয়রের ভোটও গণ্য হবে না।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, যারা ভোট দিতে যাবে তাদের মধ্যে কারো যদি ভোট দেওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয় তাহলে সেখানে প্রিসাইডিং অফিসার কিবোর্ড দিয়ে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেবেন। সুতরাং ভোট দেওয়া নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ এবং নারী ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। উত্তরে মোট ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৩১৮। মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ১৮টি। এ ছাড়াও ভোটকক্ষ রয়েছে ৭৫৪টি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ এবং নারী ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১৫০। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। এ ছাড়াও ভোট-কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ৮৭৬টি।
এআই/
আরও পড়ুন