চীনে থাকা ১৭১ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা সম্ভব নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৮:৩৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
চেষ্টা থাকলেও চীন থেকে ১৭১ জন বাংলাদেশিকে আপাতত দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে চীনে থাকা এসব বাংলাদেশিদের ফেরত আনার ব্যাপারে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
চীনজুড়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এর উৎপত্তিস্থল উহান থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারী ৩১২ বাংলাদেশিকে ফেরত আনে বাংলাদেশ সরকার। এরপর থেকেই ওই পাইলটদের অন্য দেশ ঢুকতে দিতে না চাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিমান। অন্যদিকে চীনের বিভিন্ন শহরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটানো বাংলাদেশিদের অনেকে ফেরার দিন গুণছেন।
এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এখন আসতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা অনেক খরচ করেছি। তারপরও সম্ভব হচ্ছে না। বিমানের ক্রুরা কেউ বাইরে যেতে পারছে না, বিমান কোথাও যেতে পারছে না। এমনকি সিঙ্গাপুরে পর্যন্ত যেতে পারছে না।’
তিনি জানান, ‘তাদের দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে একমাত্র চাইনিজ চাটার্ড ফ্লাইটে সম্ভব হত। চীন এক পর্যায়ে রাজিও হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা না করে দিয়েছে। আমরা তো কোনো ফ্লাইট পাঠাতে পারছি না, কোনো ক্রুও যেতে চাচ্ছে না।’
চীনে থাকা ওই বাংলাদেশিদের অন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘তাদের আরও অন্তত কিছুদিন সেখানে থাকতে হবে, তারপর দেশে ফিরতে হবে। তাদের খাওয়া-দাওয়া চাইনিজরা এনশিওর করছে। ২৩টি জায়গায় বাংলাদেশিরা থাকে, সবগুলো জায়গায়ই খাবার, পানি সময়মতো পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা। তারা খাবার সঙ্কটে আছে বলে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, তা সঠিক না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দূতাবাস ওদের সাথে সব সময় যোগাযোগ করছে। ৩৮৪ জনের একটা গ্রুপ কনটিনিউয়াসলি খোঁজ নিচ্ছে তাদের।’
মরণব্যাধি এ ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত এক মার্কিন নাগরিকসহ ৭২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ২০ বছর আগে চীনের মূল ভূখণ্ড এবং হংকংয়ে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৃতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
নতুন ধরনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু চীন নয়, বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশে ছড়িয়েছে এ ভাইরাস।
এআই/আরকে
আরও পড়ুন