হ্যালো লিডারে এবার থাকছেন বেলকুচির মেয়র আশানুর বিশ্বাস
প্রকাশিত : ১৯:২৯, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
রাজনীতির নানা সমীকরণ আর ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পিছিয়ে আছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা। সেখানকার মানুষ প্রতিবার আশা নিয়ে ভোট দেন কিন্তু চরের মাটির মতোই নিরাশার বালু এসে জড়ো হয়েছে ভোটারের ভাগ্যে। যমুনার চর অধ্যুষিত সেই বেলকুচির পৌরমেয়র আশানুর বিশ্বাস এবার মুখোমুখি হচ্ছেন একুশে টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হ্যালো লিডারে।
তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছেন তাঁরই এলাকার তিন শ্রেণি পেশার তিন জন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগম আশানুর বিশ্বাস বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ দৌলতপুরের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার স্বামী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান একাধিকবারের এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন। লতিফ বিশ্বাস এখন সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আগামীকাল ০৯ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত ১০টায় একুশে টেলিভিশনের জনপ্রিয় সাংবাদিক ড. অখিল পোদ্দারের মুখোমুখি হবেন বেগম আশানুর বিশ্বাস। প্রসঙ্গত উত্তরবঙ্গে তিনিই একমাত্র নারীনেত্রী যিনি বারংবার ভোটে জিতে গণমানুষের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন-জানান হ্যালো লিডারের এই পর্বের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও একুশে টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি স্বপন মির্জা।
ভোটের আগে বেগম আশানুর জনগণের কাছে যেসব প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন তার কতোটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন সেসবই প্রতিপাদ্য হয়ে উঠবে এবারের হ্যালো লিডারে। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ড. অখিল পোদ্দার জানান, অনুষ্ঠানটি রোববার রাত ২টায় ও পরদিন সোমবার সকাল ৭টায় পুণ:প্রচার হবে। ড. পোদ্দার আরও বলেন, এটি একটি জনক্ষমতায়নবিষয়ক অনুষ্ঠান। দুর্নীতি রোধ করে জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে বাধ্য করাই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য, যা সংশ্লিষ্ট নেতার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল। বিশেষকরে বিভিন্ন ভাতার কার্ডের নামে লুটপাট, ঠিকাদারিতে পুকুরচুরিসহ নানামূখি অনিয়ম বন্ধ করতেই জবাবদিহিমূলক এ অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য, গণমানুষের দুঃখ-কষ্ট ও সেবাবঞ্চনা নিয়ে এক যুগ ধরে ‘জনদুর্ভোগ’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে আসছেন অখিল পোদ্দার। হ্যালো লিডারের গবেষক মোস্তাফিজুর রহমান অপু জানান, একুশে টেলিভিশনের এ অনুষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের কথা বলার প্ল্যাটফরম।
ড. অখিল পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হ্যালো লিডারের বিগত পর্বে তাঁর স্বামীও অতিথি হয়ে এসেছিলেন। এবার আশানুর বিশ্বাস স্পষ্ট করলেন অনুন্নয়নের প্রধান বাধা কিসে। বললেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে শুরু করে সরকারদলীয় স্থানীয় নেতাদের বাধার কারণে বারংবার উন্নয়ন ব্যাহত হয়। তারপরও দমিয়ে রাখা যায়নি তাঁকে। বেলকুচির উন্নয়নে তিনি ও তাঁর স্বামী যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠান প্রযোজক মানিক শিকদার বলেন, হ্যালো লিডার একুশে টিভির ভিন্নমাত্রার জবাবদিহিমূলক অনুষ্ঠান। যার উদ্দেশ্য জনক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করা। অনুষ্ঠান উপস্থাপক ড. অখিল পোদ্দার বলেন, সাধারণ মানুষ অনেক আশা নিয়ে ভোট দেন। ব্যালটে সিল দেয়ার মধ্য দিয়ে স্বপ্ন দেখেন পূর্ণাঙ্গ নাগরিক সেবাপ্রাপ্তির। কিন্তু মানুষের সেসব আশা কি পূরণ হয়? অনেকাংশেই অপ্রাপ্তি থেকে যায়। ক্ষমতার রাজনীতিতে যখন জবাবদিহিতা উধাও হতে বসেছে তখন একুশে টেলিভিশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘হ্যালো লিডার।’ নেতাদের ভুলে যাওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো মনে করিয়ে দিয়ে তা বাস্তবায়নই হ্যালো লিডারের উদ্দেশ্য। একুশে টেলিভিশনের হেড অফ ইনপুট ড. অখিল পোদ্দারের সঞ্চালনায় এবারের হ্যালো লিডার অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে পিছিয়ে পড়া সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়ন। বিশেষকরে বস্ত্রশিল্পের পাশাপাশি ব্যবসাবান্ধব বেলকুচি বিনির্মাণে গুরুত্ব দিয়েছেন উপস্থাপক ড. পোদ্দার।
আরকে//
আরও পড়ুন