আইসিজে’র রায়ে রোহিঙ্গাদের ফিরতে পরিবেশ যোগাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২৩:২২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২৩:৩৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ফাইল ছবি
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে)’র রায় মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে আস্থা ও পরিবেশ যোগাবে বলে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে.আবদুল মোমেন।
আজ সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো.মুজিবুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি অন্যান্য রাষ্ট্র সমূহকে সম্পৃক্ত করে ত্রিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠান এবং রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ৫ম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠানের জন্য মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আবদুল মোমেন সংসদকে আরো জানান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের তিন দশকের সমস্যা সমাধানে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠিত হওয়ার পর থেকে এ পযর্ন্ত ৪টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিয়ানমারের অনুরোধে এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সমূহের আলোকে ইতোমধ্যে ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ও ২০১৯ সালের ২২আগস্ট দুইবার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমারে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় এবং রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনের মূল অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৪দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে এ ব্যাপারে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাসে ঢাকায় ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সম্মেলনে রোহিঙ্গা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ওআইসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে গাম্বিয়া জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় মিয়ানমার অংশ নেয় এবং মামলার রায়ে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সাথে রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে নিতে আদেশ দেয়।
এসি
আরও পড়ুন