ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনা পরীক্ষায় বাংলাদেশকে ৫০০ কিট দিল চীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা- সংগৃহীত

আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা- সংগৃহীত

নভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রায় দুই সহস্রাধিক মানুষ মারাও গেছেন এই ভাইরাসে। এর মধ্যে এ ভাইরাস পরীক্ষায় বাংলাদেশকে ৫০০ পিসিআর কিট দিয়েছে চীন। 

বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এসব কিট বুঝে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। 
 
মীরজাদী সেব্রিনা জানান, করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয় পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা পিসিআরের মাধ্যমে। পিসিআর করতেই এসব কিট ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, ‘তবে এটার পরীক্ষা পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয় এখনও বিশ্লেষণ করিনি। এগুলো দিয়ে কতগুলো পরীক্ষা করা যাবে সেটাও এখনও জানি না।’

বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে সেব্রিনা বলেন, ‘এদের মধ্যে চারজন চীনের নাগরিক।’ কভিড-১৯ নামের এই রোগ নিয়ে আতঙ্কিত না হতে আবারও আহ্বান জানান ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ‘চীনে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে এখনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। চীনে এখন পর্যন্ত যত মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তার ৮০ ভাগই মৃদু ঝুঁকির। যাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।’ এখনও বাংলাদেশে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত বা কোনো প্যানিকের মধ্যে না পড়ি সে বিষয়টা আমরা আশ্বস্ত করতে চাই।’

তবে সতর্কতার সর্বোচ্চতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদেরকে হাসপাতাল ভর্তি বা কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। 

আশকোনা থেকে বাড়ি ফেরা ৩১২ জনের সবাই ভালো আছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১১২ জনে। বিশ্বব্যাপী এ সংখ্যা অন্তত ২১২০ জন। চীনের বাইরে অন্তত আটজন মারা গেছেন। এর মধ্যে হংকং ও ইরানে দুইজন করে এবং তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন। চীনের বাইরে সবশেষ গত রোববার তাইওয়ান একজনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জাপানে। সূর্য্যদয়ের দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩’শ ছাড়িয়েছে।

এর আগে উৎপত্তিস্থল উহানে এক জাপানি নাগরিক মারা গেলেও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) প্রথমবারের মত জাপানে এ ভাইরাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের অন্তত ৩০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু। অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি