ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বহুল আলোচিত পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত

প্রকাশিত : ১২:৩৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বহুল আলোচিত পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত। মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ীসহ এসএনসি-লাভালিনের দুই কর্মকর্তাকে। বিশ্বব্যাংকের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে কানাডার পুলিশের দেয়া ফোনে আড়ি পাতার পুরো তথ্যই গুজব হিসেবে উল্লেখ করেছে আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার কানাডিয়ান পত্রিকা দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় এসব খবর। সাত বছর পর মিলল বিচার। ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলো বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। বিশ্বব্যাংকের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের তথ্য-প্রমাণ গুজব বলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে কানাডার অন্টারিও সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির জন্য পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করে। তদন্ত শুরু করে বিশ্বব্যাংক। কানাডার পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়া দায়িত্ব দেয়া হয়। এর পক্ষে প্রমাণ হিসেবে আদালতে ‘ফোনে আড়ি পাতা তথ্য’ উপস্থাপন করে পুলিশ। দীঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর এসব তথ্য শোনা কথা বলে উল্লেখ করেন বিচারক ইয়ান নরডেইমার। তথ্যের সোর্স আর তথ্য সংগ্রহে পুলিশের গাফেলতির নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ আদেশের ফলে খালাস পেয়েছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী জুলফিকার ভূইয়া, এসএনসি-লাভালিনের দুই কর্মকর্তা কেভিন ওয়ালেস ও রমেশ শাহ। অথচ এই গুজবের কারনেই ২০১৩ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। পদত্যাগে বাধ্য হন তৎকালিন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। তোপের মুখে পড়েন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীও। যদিও দুদকের তদন্তেও অভিযোগের সত্যতার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি