ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন না রইজ উদ্দিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৩, ১২ মার্চ ২০২০

এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মেদ- সংগৃহীত

এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মেদ- সংগৃহীত

এবারে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন এস এম রইজ উদ্দিন। সাহিত্যে পদক পেতে যাচ্ছিলেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান বিষয়ক একটি সংশোধিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 

বিজ্ঞপ্তিতে সাহিত্যে স্বাধীনতা পদক পাওয়া এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মেদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাহিত্যে পদকের জন্য কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। 

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নয় ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। তালিকায় এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট করেছেন যে, রইজ উদ্দিনের নাম এর আগে কেউ শোনেননি বা তার সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে কেউ জানেন না। 

বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান তার ফেইসবুকে একটি পোস্টে লিখেন, ‘এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন রইজ উদ্দীন, ইনি কে? চিনি না তো। কালীপদ দাসই বা কে! হায়! স্বাধীনতা পুরস্কার!’

রইজ উদ্দিন আহম্মদ একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। পুরস্কার পাওয়ার খবরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো ভাষা হারিয়ে ফেললাম, আমিতো বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়েছি। পুরস্কার প্রাপ্তিতে আনন্দ লাগার কথা, ভালো লাগার কথা, তাই আমারও ভালো লেগেছে ,আনন্দ লেগেছে। আমার জীবনে এটা একটা সারপ্রাইজের কথা বলে মানুষ, এটা তেমন একটা বিষয়।’ 

তবে তার সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে কেউ জানেন না এমন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রচারবিমুখ, আমার প্রচারের জন্য গাংচিল আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আছে। এর শাখা দেশের সব জেলাতে আছে, বিদেশে আছে। আমি এটার কেন্দ্রীয় সভাপতি। হাজার হাজার তৃণমূল পর্যায়ের কবি আমাকে ভালো জানে, আমিও তাদের জানি। রাজধানীর যারা কৌলিন্যের দাবিদার সেখানে আমি খুব একটা পরিচিত না। একেবারে সেখানে অনুষ্ঠান করিনি তা না। কিন্তু এখন অনেকেই না চেনার ভান করবে। এটা তাদের ব্যাপার। আর পরিচিত হওয়ার জন্য প্রচেষ্টাও আবার খুব একটা ছিল না।’

রইজ উদ্দিন আহম্মদের ৩০ টির বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক ইতিহাস, বাংলাদেশের নদনদী নিয়ে তিনি লেখালেখি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার যা কিছু কাজ সেসব খুলনা বা মফস্বলভিত্তিক বলতে পারেন।’ তার বইয়ের মধ্যে রয়েছে, কেমন করে স্বাধীন হলাম, হ-য-ব-র-ল, পাখি সব করে রব, বাংলার যত ফুল ও হারানো প্রিয়া (কাহিনী কাব্য)। 

এর আগে তিনি মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্বর্ণপদকসহ কয়েকটি পদক পেয়েছেন বলে দাবি করেন রইজ উদ্দীন। 

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি