কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত : ১৮:৫৪, ১৮ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৯:৪০, ১৮ মার্চ ২০২০
কক্সবাজার সুমদ্র সৈকত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। করোনাভাইরাসকে ঠেকাতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ এখানে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক আসেন। এছাড়া সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম রোধে পর্যটকদের সৈকতে না নামতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সৈকতের বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিচ্ছেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিষয়টি জানিয়ে তাদের সরিয়ে এনেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। বুধবার বিকাল থেকে সৈকত এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ‘সৈকতে কোনো দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আগে যারা প্রবেশ করেছে, তাদের স্থান ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। তবে চীনে করোনাভাইরাস প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু চীনের বাইরে অন্য দেশে ব্যাপক আকারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এতে বিশ্বব্যাপী প্রচণ্ড আতঙ্ক ও ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে মারা গেছে ৭ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে উৎপত্তিস্থল চীনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ২৩৭।
এদিকে মরণঘাতী এই ভাইরাসে বাংলাদেশেও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। মৃত ব্যক্তি কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
এসি
আরও পড়ুন